রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যাকারী ব্যবসায়ী গাজী আনিসকে বিনিয়োগের প্রলোভন দিয়েছিলেন আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির (হেনোলাক্স) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল আমিন এবং তার স্ত্রী ও পরিচালক ফাতেমা আমিন।
বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে কাওরান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গাজী আনিস নিজের জমানো টাকা এবং লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ঋণ করে টাকা এনে দেন নুরুল আমিনকে। কয়েক মাস লভ্যাংশ পাওয়ার পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে আত্মীয়-স্বজনের টাকা পরিশোধের চাপে পড়ে আনিস এবং এক পর্যায়ে সে আত্মহত্যা করে।
গত ৫ জুলাই ভোর সোয়া ৬টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান গাজি আনিস। এর আগে ৪ জুলাই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নিজের শরীরে প্রকাশ্যে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। এরপর গাজী আনিসকে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে হেনোলাক্স গ্রুপের মালিক নুরুল আমিন এবং তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেন গাজী আনিসের ভাই নজরুল ইসলাম। এরপর মঙ্গলবার (৫ জুলাই) আসামিদের রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আমিন গ্রুপের মালিক মো. নুরুল আমিন এবং তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনের সঙ্গে সখ্যতা সূত্রে প্রাথমিকভাবে ১ কোটি টাকা এবং পরে আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ঋণ করে আরও ২৬ লাখ টাকা দেন গাজি আনিস। কিন্তু বিশ্বস্ততা থাকায় টাকা দেওয়ার রেজিস্ট্রি চুক্তিপত্র করা হয়নি। কয়েক মাস নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী লভ্যাংশ দেন কিন্ত পরে তা বন্ধ করে গাজী আনিসকে হেনস্তা ও হুমকি দেন। বর্তমানে লভ্যাংশসহ গাজী আনিসের পাওনা ৩ কোটি টাকার বেশি। তাদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার আদালতে দুটি মামলাও করেছিলেন গাজী আনিস।