নারী এনজিও কর্মীকে ধর্ষণ শেষে হত্যার ঘটনায় জড়িত রিপন মোল্যা নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
দন্ডপ্রাপ্ত রিপন মোল্যার বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর গ্রামে। তার পিতার নাম কুরবান মোল্যা। গত বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে বিচারক প্রদীপ কুমার এ রায় দেন।
রায়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকায় অপর ৮ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, সাইদ মাতুব্বর, ফজর খাঁ, বক্কার মোল্যা, রফিক মোল্যা, মিকু মাতুব্বর, রঞ্জু সরদার, বিপুল সরদার ও ওবায়দুর মোল্যা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১২ জুলাই এসডিসি নামক এনজিও কর্মী শিউলী আক্তার বোয়ালমারী অফিস থেকে সন্ধ্যার পর বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব পরিচিত রিপন মোল্যা ও তার সহযোগীরা অপহরণ করে একটি পাটখেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শিউলী আক্তারকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বারেক মোল্যা বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।