মৌলভীবাজারের নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানায় নিহতদের শরীরে কোনো গুলির চিহ্ন নেই। তবে তিন জনের শরীরে সুইসাইডাল ভেস্ট পরা রয়েছে। সুইসাইডাল ভেস্টের বিস্ফোরণে তাদের মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা।
নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানায় সোয়াটের অভিযানে নিহত ৭ জনের ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার বিকেলে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পলাশ রায় এ কথা জানান।
শুক্রবার দুপুরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিহতদের ময়নাতদন্ত হয় বলে জানান ওই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. পার্থ সারথী দত্ত।
তিনি জানান, তিন সদস্যের চিকিৎসক দল তাদের ময়নাতদন্ত করেন। নিহতদের মধ্যে একজন নারী, দুইজন পুরুষ ও ৪ শিশু রয়েছে।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দলের সদস্য ডা. পলাশ রায় বলেন, নিহত পুরুষদের বয়স ৩০ ও ৩৫ এবং নিহত নারীর বয়স আনুমানিক ২৫ বছর হতে পারে। নিহত শিশুদের একজনের বয়স দুই বছর, একজনের সাত বছর ও একজনের ১২ বছর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে তিনজন মেয়ে বলে সনাক্ত করা গেছে। আরেক শিশুর বয়স ২ থেকে ৩ মাস। এই মরদেহটির কেবর মুখমন্ডল পাওয়া গেছে। ফলে ছেলে না মেয়ে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, সুইসাইডাল ভেস্ট বিস্ফোরণ ঘটিয়েই তারা আত্মহনন করে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ নিহতদের কারো শরীরেই কোনো গুলির চিহ্ন নেই। দুই পুরুষ ও এক নারীর পেটের নিচের অংশ উড়ে গেছে। নিহতদের ডিএনএ’র নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
গত বুধবার মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১নং খলিলপুর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামের একটি বাড়ি জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখে পুলিশ। ওইদিন বিকেল থেকে ‘অপারেশন হিট ব্যাক’ নাম দিয়ে অভিযানে নামে সোয়াট। অভিযান শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়িটির ভেতরে ৭/৮ টি খন্ডিত মরদেহ পড়ে থাকার খবর জানায় পুলিশ।