অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ-সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট প্রকাশে সরকারকে আবারও দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আট সদস্যর পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
শুনানিতে প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন,'বিচার বিভাগকে জিম্মি করে রাখা হচ্ছে। মনে রাখবেন রাষ্ট্রের কাছে ব্যক্তির চেয়ে প্রতিষ্ঠান বড়। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ফেয়ার প্লে হচ্ছে না।'
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি গেজেট আকারে প্রকাশ করতে শেষ মঙ্গলবার দিন পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছিলেন আদালত। এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষকে গেজেট প্রকাশে দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।
প্রায় এক বছর ধরে অধস্তন আদালতে চাকরিবিধি-সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ নিয়ে সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে টানাপড়েন চলছে। এর মধ্যে কয়েকবার সময় দেওয়ার পরও সরকার গেজেট প্রকাশ না করায় গত বছরের ৮ ডিসেম্বর দুই সচিবকে তলবও করেছিলেন আপিল বিভাগ। এ প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতি গেজেট প্রকাশের প্রয়োজন নেই বলেও সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। তবে সুপ্রিম কোর্ট বলছেন, রাষ্ট্রপতিকে ভুল বোঝানো হয়েছে। গেজেট প্রকাশ করতেই হবে।
প্রেক্ষাপট: মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে পৃথক করা সংক্রান্ত মাসদার হোসেন বনাম সরকার মামলার যুগান্তকারী রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আপিল বিভাগ বিসিএস (বিচার) ক্যাডারকে সংবিধান পরিপন্থী ও বাতিল ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে জুডিসিয়াল সার্ভিসকে স্বতন্ত্র সার্ভিস ঘোষণা করে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার জন্য সরকারকে ১২ দফা নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে বিচার বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। তবে আপিল বিভাগের রায়ের আলোকে অধস্তন আদালতের জন্য পৃথক শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালা এখনও প্রণীত হয়নি। এ নিয়েই সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে টানাপড়েন চলছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
শুনানিতে প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন,'বিচার বিভাগকে জিম্মি করে রাখা হচ্ছে। মনে রাখবেন রাষ্ট্রের কাছে ব্যক্তির চেয়ে প্রতিষ্ঠান বড়। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ফেয়ার প্লে হচ্ছে না।'
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি গেজেট আকারে প্রকাশ করতে শেষ মঙ্গলবার দিন পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছিলেন আদালত। এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষকে গেজেট প্রকাশে দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।
প্রায় এক বছর ধরে অধস্তন আদালতে চাকরিবিধি-সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ নিয়ে সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে টানাপড়েন চলছে। এর মধ্যে কয়েকবার সময় দেওয়ার পরও সরকার গেজেট প্রকাশ না করায় গত বছরের ৮ ডিসেম্বর দুই সচিবকে তলবও করেছিলেন আপিল বিভাগ। এ প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতি গেজেট প্রকাশের প্রয়োজন নেই বলেও সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। তবে সুপ্রিম কোর্ট বলছেন, রাষ্ট্রপতিকে ভুল বোঝানো হয়েছে। গেজেট প্রকাশ করতেই হবে।
প্রেক্ষাপট: মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে পৃথক করা সংক্রান্ত মাসদার হোসেন বনাম সরকার মামলার যুগান্তকারী রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আপিল বিভাগ বিসিএস (বিচার) ক্যাডারকে সংবিধান পরিপন্থী ও বাতিল ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে জুডিসিয়াল সার্ভিসকে স্বতন্ত্র সার্ভিস ঘোষণা করে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার জন্য সরকারকে ১২ দফা নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে বিচার বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। তবে আপিল বিভাগের রায়ের আলোকে অধস্তন আদালতের জন্য পৃথক শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালা এখনও প্রণীত হয়নি। এ নিয়েই সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে টানাপড়েন চলছে।