স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে বৈঠকের পর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের চলমান কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন।সোমবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা পরীক্ষিৎ চৌধুরী জানান, সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে ইন্টার্ন চিকিৎসক নেতাদের বৈঠক হয়। বৈঠকে চার ইন্টার্ন চিকিৎসকের শাস্তি প্রত্যাহারের আশ্বাস দেওয়া হলে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের কর্মরিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
এক সহকর্মীর লাঞ্ছিত হওয়ার জেরে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের (শজিমেক) ইন্টার্ন চিকিৎসকরা গত ১৯ ফেব্রুয়ারি গুরুতর রোগীর এক স্বজনকে দফায় দফায় মারধর এবং কান ধরে ওঠবস করান। এ ঘটনা তদন্তে শজিমেক হাসপতাল কর্তৃপক্ষ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি করা হয়। পরে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শজিমেকের চার ইন্টার্ন চিকিৎসকের ইন্টার্নশিপ ৬ মাসের জন্য স্থগিতসহ তাদের ভিন্ন ভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি করা হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সাজা পাওয়া ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মধ্যে শজিমেকের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল মামুনকে খুলনা মেডিকেলে, সাবেক সহ সসভাপতি ও শজিমেক ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মুখপাত্র ডা. কুতুব উদ্দিনকে যশোর মেডিকেলে, নুর জাহান বিনতে ইসলাম নাজকে দিনাজপুর মেডিকেলে এবং মো. আসিফুজ্জামান আসিফকে ফরিদপুর মেডিকেলে ইন্টার্নশিপ শেষ করতে হবে।
এ খবর জানাজানি হলে বগুড়া শজিমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। চার সহকর্মীকে ‘শাস্তি দেওয়ার প্রতিবাদে’ তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ হিসেবে গত ২ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎকর্মস্থল ছেড়ে চলে যান।
শনিবার এক মানববন্ধনে ইন্টার্ন চিকিৎসক নেতারা বলেন, 'কর্তৃপক্ষ শুধু এক পক্ষের ওপর দায় চাপিয়েছে। এটা কোনোভাবেই আমরা মানতে পারি না। তাই এই অন্যায্য সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করবো।'
এদিকে শজিমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে শনিবার থেকে দিনাজপুর, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সিরাজগঞ্জের নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও কর্মবিরতিতে যান। এতে চিকিৎসা সেবা ব্যহত হয়।