Breaking news

৬ষ্ঠ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাবি শিক্ষক সমিতি
৬ষ্ঠ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাবি শিক্ষক সমিতি

৬ষ্ঠ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাবি শিক্ষক সমিতি

সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে ৬ষ্ঠ দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি।

সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১২টায় ঢাবির কলা ভবনের সম্মুখ গেটে শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এদিন সকাল থেকেই কর্মবিরতির অংশ হিসেবে ৬ষ্ঠ দিনের মতো সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরতি নেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা।

এর আগে গত ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেন ঢাবি শিক্ষকরা। ফলশ্রুতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতারা।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ৩ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি করে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের দাবি মানার কোনো অবস্থা আমরা দেখছি না। আমরা আগেও বলেছি এখনো বলছি, আমাদের দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত পিছু হটবো না। বিজয় নিয়েই আমরা ক্লাসরুমে ফেরত যাবো।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কারা আমাদের আন্দোলনে নামিয়েছে? আমরা মনে করি তারা রাষ্ট্রের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা লোক, যারা ২০১৫ সালেও আমাদের বিরুদ্ধে লেগেছিল। সে বছর তারা আমাদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি, তাই এ বছরও তারা আমাদের পেছনে লেগেছে। তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই একটি সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছে। এটা সম্পূর্ণ অন্যায় ও অন্যায্য।

তিনি বলেন, এ নিয়ে শিক্ষক প্রতিনিধিরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা বলেছিলাম এই স্কিম বাতিল করুন নাহলে আমরা কর্মবিরতি শুরু করবো, কিন্তু তারা দাবি মানেনি। ফলে আমরা অর্ধদিবস কর্মবিরতি করেছি, পরে পূর্ণ দিবস করেছি। এরপর আমরা এই সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেছি। যেহেতু আমরা এই আন্দোলন শুরু করেছি সফলতা আসার আগে ক্লাসে ফিরবো না।

প্রসঙ্গত, সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে গত ২০ মে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। তার ধারাবাহিকতায় ২৬ মে বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে মানববন্ধন করেন শিক্ষকরা। এরপর ২৮ মে দুই ঘণ্টা এবং ২৫-২৭ জুন তিনদিন সারাদেশে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। পরবর্তী সময়ে ৩০ জুন পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করা হয় এবং ১ জুলাই থেকে থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু হয়।

 

বিবিএন ডেস্ক/ এমআরকে

 

Published: 2024-07-08 07:13 am   |   View: 1226   |  
Copyright © 2017 , Design & Developed By maa-it.com



up-arrow