পেঁয়াজ প্রতিদিন রান্নায় এক অতি প্রয়োজনীয় মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয় সবার ঘরে। আর পেঁয়াজ ব্যবহার করার আগে প্রথমেই আমরা এর খোসা ছাড়িয়ে নেই। এরপর ফেলে দেই সেই খোসা। কিন্তু আপনি কী জানেন, পেঁয়াজের এই ফেলে দেয়া খোসা কতো উপকারী? এ নিয়ে জানবো চলুন।
চুল পাকা রোধে: পেঁয়াজের খোসা চুল পাকা রোধে কার্যকর, শুনতে অদ্ভুত লাগছে তাই না? তবে ব্যাপারটা অনেকটাই সত্যি। আপনার পাকা চুল ঢাকতে ঘরোয়া কৌশল অবলম্বন করুন। এক্ষেত্রে ২/৩ টি মাঝারি আকারের পেঁয়াজ নিন। সেগুলোর খোসা ছাড়িয়ে একটি প্লেটে রাখুন। একটি আয়রন প্যানে খোসাগুলো নিয়ে হালকা আঁচে সেগুলো গরম করুন। খোসাগুলো কালো হয়ে গেলে সেগুলো নামিয়ে পাউডারের মতো গুঁড়ো করে ফেলুন। পরে অ্যালোভেরা জেল বা চুলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। ঘরে তৈরি এই হেয়ার ডাই আপনার সাদা চুল কালো করে দেবে। পরে অবশ্য একাধিকবার ধুয়ে ফেললে তা দূর হয়ে যাবে।
চুল পড়া রোধে: আমাদের অনেকেরই প্রচুর চুল ঝরে পড়ে। এক্ষেত্রে একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে কয়েকটি পেঁয়াজের খোসা দিয়ে গরম করুন। পানির রঙ বাদামি হয়ে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর সেই পানি একটি বোতলে রাখুন। এই মিশ্রণ মাথায় ব্যবহার করলে চুল পড়া কমবে ও নতুন চুল জন্মাবে।
খাবারের ফ্লেভারে: পেঁয়াজের খোসা শুকিয়ে তার গুঁড়ো স্যুপ, স্টিউ ও ঘরে বানানো পাউরুটিতে ব্যবহার করলে ভালো ফ্লেভার পাবেন।
ব্যথা দূর করতে: আপনার যদি মাংসপেশি বা শরীর ব্যথা হয়ে থাকে, তাহলে পেঁয়াজের খোসাযুক্ত পানি গরম করে পান করলে উপকার পাবেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটি পাত্রে পানি নিয়ে কয়েকটি পেঁয়াজের খোসা যুক্ত করে গরম করুন। এরপর সেই পানি পান করলে শরীরের ব্যথা কমবে।
সুনিদ্রায় পেঁয়াজের খোসা: অদ্ভুত শোনালেও পেঁয়াজের খোসা সুনিদ্রা নিয়ে আসে বলে জানা গেছে। ঘুমের আগে পেঁয়াজের খোসাযুক্ত চা পান করলে উপকার পাবেন। কারণ পেঁয়াজের খোসায় থাকা এল- ট্রিপটোফ্যান নামের অ্যামাইনো এসিড মস্তিষ্ক ঠান্ডা করে ও ঘুম নিয়ে আসে।
পেঁয়াজের খোসা যখন সার: রান্নার কাজ শেষে পেঁয়াজের সব খোসা প্রতিদিন একটি বড় পাত্রে রাখুন। ধীরে ধীরে তা প্রাকৃতিক সারে পরিণত হবে। এই সার আপনার বাগানের গাছে ব্যবহার করুন, দেখবেন দ্রুত বেড়ে উঠছে গাছ।