রকিবুল হাসান, তামিম ইকবাল, মুমিনুল হক ও আল আমিন; চার জন খেলছিলেন তিনটি ভেন্যুতে। কিন্তু সকাল থেকে এই চার জনের লড়াই হলো হাড্ডাহাড্ডি—শীর্ষ রান সংগ্রাহক হওয়ার লড়াই।
গতকালও অপরাজিত ৬৬ রানের ইনিংস খেলা রকিবুল হাসান ৭১৯ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। মুমিনুল ৫৮ ও আল আমিন ৫৫ রান করে দৌড়ে রইলেন। তবে সন্তুষ্ট থাকতে হলো তাদের ৪ ও ৫ নম্বর স্থান নিয়ে। গতকাল পর্যন্ত সবার ওপরে থাকা আব্দুল মজিদ নেমে এলেন তিন নম্বরে। কারণ, গতকালই এবার লিগে যে কোনো ব্যাটসম্যানের ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ ১৪২ রানের ইনিংস খেলে ৭১৪ রান নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে চলে এলেন তামিম ইকবাল। যদিও যখন তামিম ইনিংসটা খেলেন, রেকর্ডটা তার দখলেই ছিলো। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে তাকে টপকে যান রকিবুল।
শেষ অবদি রকিবুলের থেকে ৫ রান পেছনে থাকলেও গতকাল দিনের তো বটেই, এবার লিগের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইনিংসটা খেলে ফেললেন তামিম ইকবাল। দিনশেষে এই ম্যাচ না জিতলেও আবাহনী চ্যাম্পিয়ন হতো। কিন্তু দিনের শুরুতে যখন তিনটি ম্যাচ শুরু হয়, তখন আবাহনীর দরকার ছিলো জয়। আর সেই জয়ের ভিত গড়ে দেওয়ার পথে দানবীয় ইনিংসটা খেলেন তামিম ১৩২ বলে।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বুধবার শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত ব্যাট করেছেন তামিম। শুরুটায় ছিলেন সাবধানী। অর্ধশতক স্পর্শ করেন ৭০ বলে। পঞ্চাশের পর রানের গতি বাড়িয়েছেন, তবে ঝুঁকি নিয়েছেন সামান্যই। এবারের লিগে দ্বিতীয় ও লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দশম শতক ছুঁয়েছেন ১১৪ বলে।
এর পর তুলেছেন ঝড়। আরেকপাশে মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাটও তখন ঝলসে উঠেছে। দু’জন মিলে কচুকাটা করেছেন প্রাইম ব্যাংকের বোলারদের। শুভাগত হোমের এক ওভারে দুজন মেরেছেন ৪টি ছক্কা। পরের ওভারে মনির হোসেনকে দুটি ছক্কা মেরেছেন তামিম। উন্মুক্ত চাঁদকে টানা দুই বলে মেরেছেন চার ও ছয়।
শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন চাঁদের ওই ওভারেই। আরেকটি ছক্কায় চেষ্টায় ধরা পড়েছেন মিড উইকেট সীমানায়। আউট হয়ে ফিরে আসার সময় নামের পাশে তার ১১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১৩২ বলে ১৪২।