মো: মোস্তাফিজুর রহমান খান : পল্টনসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ১১টি গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের তিন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে তারা সরাসরি জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি। শনিবার ভোরে তাদেরকে আটক করা হয়।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
১২ নভেম্বর রাজধানীর পল্টন থানা এলাকায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সরাসরি জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ লিয়ন হক (৩০) ১নং সদস্য যুবদল, পল্টন থানা , কাজী রেজাউল হক বাবু ওরফে জিম বাবু (২৮ সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পল্টন থানা ও মোঃ আজাদ (২৮)যুবদল কর্মী পল্টন থানা।
প্রসঙ্গত, ১২ নভেম্বর রাজধানীর পল্টন, মতিঝিলসহ বিভিন্ন থানা এলাকায় ১১টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সংক্রান্তে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১৬টি মামলা রুজু হয়। পল্টন ও মতিঝিল থানায় রুজুকৃত ৪টি মামলা তদন্ত করছে গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ।
তদন্তকালে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ অগ্নিসংযোগকারীদের তিনজনকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। শনিবার (২১ নভেম্বর, ২০২০) ভোরে পল্টন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শনাক্তকৃত তিনজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ।
শনিবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার।
তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৩০ টায় নয়াপল্টন বিএনপি পার্টি অফিসের সামনে আকস্মিক ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের কতিপয় নেতাকর্মী মিছিল বের করে। একপর্যায়ে মিছিলটি বিএনপি পার্টি অফিসের সামনে এসে উশৃঙ্খল হয়ে পরে। প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের ধারণকৃত ছবি ও ভিডিও ফুটেজ এবং সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মিছিল থেকে গ্রেফতারকৃতরা তাদের সহযোগীদের সহায়তায় পল্টন বিএনপি পার্টি অফিসের বিপরীতে অবস্থিত কর অঞ্চল-১০ এর সামনের থাকা সরকারি স্টাফ বাসে অগ্নিসংযোগ করে।
হাফিজ আক্তার বলেন , গাড়িতে আগুন দেয়ার মাস্টারমাইন্ডদেরও খুঁজে বের করা হবে বলে জানান ডিবি কর্মকর্তা। তিনি জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমাণ্ডে নেয়া হয়েছে। এছাড়া পলাতক বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।