ভাগ্যটা সঙ্গ দিচ্ছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। প্রেসিডেন্ট পদ হারানোর সঙ্গে সঙ্গেই আরও এক দুসংবাদ অপেক্ষা করতে চলেছে তাঁর জন্য। এমনই তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডেইলি মেল ইউকে।
ডেইলি মেল নিজেদের প্রতিবেদনে উদ্ধৃত করেছে ট্রাম্প প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিককে। ওই আধিকারিক জানাচ্ছেন, যে কোনও দিনই বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠাতে পারেন বিদায়ী ফাস্ট লেডি।
উল্লেখ্য ওই আধিকারিক মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন অতীতে। ওই আধিকারিকের দাবি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক মোটেও ভালো নয়। দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্কে ফাটল ধরেছে তাঁদের। মেলানিয়া এই নির্বাচনের ফল বেরোনো পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলেন, এরপরেই তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত জানাবেন ।
রবিবার এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ডেইলি মেলে। মেলানিয়ার প্রাক্তন সহযোগি স্টেফনি ওয়োকঅফ ছিলেন আমেরিকার ফার্স্ট লেডির উপদেষ্টা। তিনি দাবি করেছেন হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও মেলানিয়া পৃথক ঘরে থাকতেন। তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল শুধুমাত্রা আর্থিক লেনদেনের।
এই একই তথ্য দিচ্ছেন মেলানিয়ার আরেক সহকর্মী ওমারোসা ম্যানিগল্ট নিউমান। তিনিও জানিয়েছেন ট্রাম্প ও তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। যে কোনও মুহুর্তে তা ভেঙে যেতে পারে।
বলা ভালো তা ভেঙে যাওয়ার জন্য সঠিক সময়ের অপেক্ষা করছে মাত্র। ট্রাম্প মেলানিয়ার ১৫ বছরের বৈবাহিক সম্পর্ক শেষ হতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার পরেই বলে ইঙ্গিত মিলছে।
ওমারোসা জানিয়েছেন সময় গুনছেন মেলানিয়া, যাতে ডিভোর্স দিতে পারেন। হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্প বেরোলেই তাঁকে ডিভোর্স দিতে চান মেলানিয়া