বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নির্মিত দুইটি স্থাপনার নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে।
সাত দিনের মধ্যে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নিলে নিজেরাই ব্যবস্থা নিবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুরে চবিতে কেন্দ্রঘোষিত জঙ্গিবাদ বিরোধী মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব দাবি জানানো হয়।
জঙ্গিবাদের উত্থানে বিএনপি-জামায়াত জড়িত দাবি করে মানববন্ধনে চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের পৃষ্ঠপোষকতায় সারাদেশে জঙ্গিরা সংগঠিত হচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাওয়া লাল সবুজের পতাকাকে তারা নিরহ মানুষের রক্তে রঞ্জিত করছে। তাই বিএনপি-জামায়াত জোট নেত্রী খালেদা জিয়ার নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো স্থাপনা থাকতে পারে না।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভবনটিরও নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত থাকে। তিনি দেশে চলমান উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পদ্মাসেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংককে ভুল বুঝিয়েছেন। তার কারণেই বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতুতে অর্থ দেয়নি। তাই দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী ইউনূসের নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো স্থাপনা রাখতে দেয়া হবে না। এসময় তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল যায়গা থেকে বিএনপি-জামায়াত বিতাড়িত করার ঘোষণা দেন।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে চবি ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনসুর আলম বলেন, খালেদা জিয়া জঙ্গিদের নেত্রী। আর ড. ইউনূস বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে খুশি করতেই সারা বিশ্বে দেশের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তাই তাদের নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো স্থাপনার নাম রাখতে দেয়া হবে না।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন- চবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নুর জামান, কাউসার ফেরদৌস ফুয়াদ, আব্দুল মালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর জীবন, মিনহাজুল ইসলাম এবং দফতর সম্পাদক রায়হান মাহমুদ শুভ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া নামে একটি ছাত্রী হল ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভবন নামে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের নামকরণ করা হয়েছে।