Breaking news

দিনাজপুরের ১৮ নদ-নদী প্রায় বিলীন
দিনাজপুরের ১৮ নদ-নদী প্রায় বিলীন

দিনাজপুরের ১৮ নদ-নদী প্রায় বিলীন

দিনাজপুর জেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ইছামতি, গর্ভেশ্বর, পূণর্ভবা, আত্রাই, ঢেপা, ছোট যমুনাসহ প্রায় ১৮টি নদ-নদী। জেলার বিভিন্ন উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া খরস্রোতা এসব নদ-নদীর অস্তিত্ব  প্রায় বিলীন হয়ে গেছে।

নদীর বুকে আবাদ হচ্ছে বিভিন্ন ফসল। গড়ে উঠেছে, বাড়ি-ঘর, দোকান-পাট, হাট-বাজার, ক্লাব-সমিতিসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর স্থাপনা। সেই সঙ্গে মানচিত্র হতে হারিয়ে যেতে বসেছে নদীর নামও।

শুধু তাই নয়, জেলার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় খরা মৌসুমে খাবার পানি বা জমিতে সেচ দেয়ার জন্য ১৫ থেকে ২০ ফুট মাটির নিচে পাম্প স্থাপন করে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

হারিয়ে যাওয়া নদীগুলোর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে কারও কোনো আগ্রহ বা উৎসাহ না থাকলেও নদী দখলকে কেন্দ্র করে ঘটছে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা।বর্ষাকালে নদীতে স্রোত থাকলেও খরা মৌসুমে ফসলের বিস্তীর্ণ মাঠে পরিণত হচ্ছে নদীগুলো।

রবি শস্য থেকে শুরু করে ইরি, বোরো, পাট, গম, ভুট্টাসহ সবুজের সমারোহে ভরপুর নদীগুলোর বুক। হঠাৎ দেখে কেউ বুঝতে পারবে না এটি নদী। এক সময় এই নদীগুলোতেই সারা বছর স্রোত থাকত। নৌকায় করে জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো। অনেক নদী দিয়ে পালতোলা নৌকা ও জাহাজ চলতো।

কালের আবর্তে নদীগুলো ক্রমান্বয়ে ভরাট হয়ে এখন মরে গেছে। ফলে এই জেলার অনেক জেলে বেকার হয়ে বাধ্য হয়ে পেশা পরিবর্তন করেছে। কেউ হয়েছে দিনমজুর আবার কেউ হয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক।

নদীর ধারের বাসিন্দা আমিনুল (৬৫) হীরেন (৬৭) জয়দেবসহ (৭০) আরো অনেকে বলেন, সারা বছর নদীতে স্রোত থাকলে হয়তো আমাদের প্রজন্মরা এই নদীগুলোতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো ও এলাকার লোকজন তৃপ্তি সহকারে মাছ খেতে পারতো।

অনেকে অভিযোগ করে বলেন, কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দলের কতিপয় নেতা ভরাট নদী দখল করে আবাদি জমির ন্যায় সীমানা আইল দিয়ে পৈত্রিক সম্পত্তির মতো চাষাবাদ করছে।

দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোক্তার হোসেন খাঁন বলেন, শুধু ইছামতি,গর্ভেশ্বর, পূণর্ভবা, আত্রাই, ঢেপা, ছোট যমুনা নদী নয় দিনাজপুর জেলার সব নদীর হালনাগাদ তথ্য জেলা প্রশাসককে দেয়া হয়েছে।তবে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে দিনাজপুর নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম জানান, নদী রক্ষা কমিটি বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হাতে নিয়েছে। হয়তো বাস্তবায়ন করতে কিছু দিন সময় লাগতে পারে।

Published: 2021-06-27 13:44:03   |   View: 1426   |  
Copyright © 2017 , Design & Developed By maa-it.com



up-arrow