Breaking news

ঢাবির বিজয় একাত্তর হলে ছাত্রলীগের সিট দখলের চেষ্টা, ভাঙচুর
ঢাবির বিজয় একাত্তর হলে ছাত্রলীগের সিট দখলের চেষ্টা, ভাঙচুর

ঢাবির বিজয় একাত্তর হলে ছাত্রলীগের সিট দখলের চেষ্টা, ভাঙচুর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের বিভিন্ন কক্ষে জোর করে সিট দখলের চেষ্টা করেছে ছাত্রলীগ। এ কাজে বাধা দেওয়ায় হলের আবাসিক শিক্ষকদের ধাওয়া দিয়েছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। ভাঙচুর করা হয়েছে হল প্রভোস্টের রুম। মারধরের শিকার হয়েছেন এক সাংবাদিক। সোমবার রাত ১২টা থেকে আজ মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে চারটা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রাত ১২টার দিকে বিজয় একাত্তর হলের উত্তর পাশের যমুনা ব্লকের প্রত্যেক কক্ষে এক-দুজন করে শিক্ষার্থী জোর করে তুলে দেয় ছাত্রলীগ। খবর পেয়ে কয়েকজন আবাসিক শিক্ষক হলে ছুটে আসেন। পরিস্থিত সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া দেয় ছাত্রলীগের কর্মীরা। এসময় ছাত্রলীগের কর্মীরা একজন আবাসিক শিক্ষককে ‘শিবির’ বলেও ধাওয়া করেন। রাত সোয়া একটার দিকে হলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন প্রভোস্ট অধ্যাপক আ জ ম শফিউল আলম ভূইয়া। তিনি হলে নিজের কক্ষে প্রবেশ করলে হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ফকীর রাসেল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক নয়ন হাওলাদারের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। একপর্যায়ে প্রভোস্টের কক্ষের জানালার কাঁচ ভাঙচুর করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী ও ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসান প্রাধ্যক্ষের কক্ষে যান। তারা হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ডেকে কথা বলেন। হলের ছাত্রদের নিজ নিজ কক্ষে ফেরত যেতে নির্দেশ দিতে বলেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে। যেসব কক্ষে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ছাত্র তোলা হয়েছে, তাদের সবাইকে ফিরিয়ে আনতে বলেন। এ অবস্থায় ভোররাত চারটা পর্যন্ত হলের ভেতরের মাঠে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তারা দফায় দফায় বিক্ষোভ করেন। ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে হলের যমুনা ব্লকের ৫০০৩ নম্বর কক্ষের শিক্ষার্থী ও বার্তা সংস্থা ইউএনবির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ইমরান হোসাইনকে মারধর করা হয়। ইমরানের কক্ষেও ছাত্র তোলার চেষ্টা করেছিল ছাত্রলীগ। এতে তিনি বাধা দেন। পরে সংবাদ সংগ্রহ শেষে ঘুমাতে গেলে তাকে মারধর করা হয়। তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ফকীর রাসেল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক নয়ন হাওলাদার দাবি করেন, আসন না পাওয়া নতুন শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন কক্ষে উঠেছেন। তাদের কিছু করার ছিল না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, যারা এসব ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাদের খুঁজে বের করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট শফিউল আলম ভূইয়া সাংবাদিকদের বলেন, এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করা হবে। দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া যেসব শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন কক্ষে তুলে দেওয়া হয়েছে, তারা কেউ সেখানে থাকতে পারবেন না।

Published: 2021-06-26 00:17:55   |   View: 1445   |  
Copyright © 2017 , Design & Developed By maa-it.com



up-arrow