আজ রোববার সকালে রাজধানীর ফার্মগেইট, কারওয়ান বাজার, তেজগাওঁ শিল্পাঞ্চল এবং শাহবাগ এলাকাসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
সকালে ফার্মগেইট, কারওয়ান বাজার, ঘুরে দেখা যায়, ঘর থেকে বের হওয়া মানুষেরা জরুরি প্রয়োজন ও নানা ধরনের অজুহাত দেখাচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। অনেক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদেরও অফিসে যেতে দেখা গেছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হলে এবং স্বাস্থ্য বীধী নামানলে তাকে শাস্তির আওতায় নেওয়া হবে। বিধিনিষেধ চলাকালে জনগণকে সতর্ক থাকা, মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
এছারা পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও বিধিনিষেধ কার্যকর করতে মাঠে রয়েছেন।
সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, সায়েদাবাদ, খিলগাঁও, বাসাবো, মতিঝিল, পল্টন ও শাহবাগ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সড়কের মোড়ে মোড়ে বাশঁ দিয়ে ব্যারিকেট দিয়ে পুলিশ যান চলাচল নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করছে।
গত ১৩ জুলাই বিধিনিষেধ আরোপ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আদেশে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল ঈদের কারণে। ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে নতুন করে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় এই ঘোষণায়। আগামী ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।
সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে গতকাল ৩৮৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
শনিবার সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইফতেখারুল ইসলাম bbn24.com কে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বীধী না মেনে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া অকারনে ঘোরাফেরা করায় রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৩৭ জনকে ৯৫ হাজার ২৩০ টাকা জরিমানা করা হয়। অপরদিকে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ ৪৪১টি গাড়ির ১০ লাখ ৮৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।