Breaking news

ফেরি ঘাটে উপচে পড়া ভিড়, ঘরে ফিরছে মানুষ,
 ফেরি ঘাটে উপচে পড়া ভিড়, ঘরে ফিরছে মানুষ,

ফেরি ঘাটে উপচে পড়া ভিড়, ঘরে ফিরছে মানুষ,

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে। ঘরে ফিরছে মানুষ। দুরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও চলছে ভাড়ায় চালিত প্রাইভেটকার-মাক্রোবাস। লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকলেও চলছে ফেরি। এদিকে ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখি হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঘরমুখি ও ব্যক্তিগত যানবাহনের উপচে পড়া ভিড় দেখা মেলে। 

আজ শুক্রবার দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকার সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, লকডাউনের শুরু থেকে জরুরি যানবাহন নদী পারাপারের জন্য সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করে। এই সুযোগে প্রতিনিয়ত পন্যবাহী ট্রাক ও এ্যাম্বুলেন্স এর পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১৫শত ব্যক্তিগত যানবাহন নদী পার হয়ে থাকে।

 সেই হিসেবে দুই পার মিলে প্রায় ৩ হাজার ব্যক্তিগত যানবাহন নদী পারাপার হয়ে থাকে। যানবাহনের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ নদী পারাপার হয়ে আসছে। এ সময় কাউকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাতো দূরে থাক মুখে মাস্ক পর্যন্ত দেখা যায় না। 

এদিকে ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখি হচ্ছে সাধারণ মানুষ। গত দুইদিন যাবৎ বিগত দিনের চেয়ে তিনগুন যাত্রী ও ভাড়ায় চালিত ব্যক্তিগত নদী পারাপার হচ্ছে। সামাজিক দুরত্ব কেউ মানছে না। গাদাগাদি করে যাচ্ছে গৌন্তব্যস্থানে। যানবাহন সংকটে থাকার কারণে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করে বাড়ী ফিরছেন সাধারণ মানুষের। 

ভাড়ায় চালিত মাক্রোবাস চালক রনি জানান, প্রায়োজনের তাগিদে গাড়ি চালাতে এসেছি। লকডাউনের শুরু থেকে ভাড়ায় মাক্রোবাস চালাচ্ছি। তিনি বলেন,ঘরে বসে কিভাবে চলব। সুতরাং বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হতে হয়েছে। 

ঢাকা থেকে যশোরগামী সুজন মিয়া-(৫০) বলেন, লকডাউনের কর্মহীন হয়ে পড়েছি। কত দিন ঢাকা বসে থাকব। বাধ্য হয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যাচ্ছি। 

দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকার রিক্সা চালক মালেক বলেন, লকডাউন চলছে তবে সরকারি কোন অনুদান পায়নি। তাহলে ঘরে বসে কিভাবে এতগুলো মানুষের জীবন চলবে। তিনি আরও বলেন, ঘরে বসে না খেয়ে মরার চেয়ে করোনার সাথে যুদ্ধ করে মরা শ্রেয়। 

দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মুন্নাফ মিয়া বলেন, দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় স্বার্বক্ষনিক পুলিশ রয়েছে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাচল করার জন্য সাধারণ মানুষকে বুঝানো হচ্ছে। তবু যাত্রীরা গাদাগাদি করে ফেরি পার হচ্ছে।
   
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. ফিরোজ শেখ জানান, লকডাউনের মধ্যেও জরুরি যানবাহন নদী পারাপার করার জন্য সীমিত আকারে ফেরি চলাচল চালু রাখা হয়েছে। এই সুযোগে যাত্রীরা নদী পার হয়ে আসছে। তিনি বলেন, এই নৌরুটে বর্তমান ছোট বড় ১৫টি ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। 


Published: 2021-06-17 08:47:29   |   View: 1283   |  
Copyright © 2017 , Design & Developed By maa-it.com



up-arrow