Breaking news

কাপড়ের মাস্ক না সার্জিক্যাল মাস্ক
কাপড়ের মাস্ক না  সার্জিক্যাল মাস্ক

কাপড়ের মাস্ক না সার্জিক্যাল মাস্ক

বিশ্বব্যাপী করোনার তাণ্ডব কোনোভাবেই থামছে না। দিন দিন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে এ ভাইরাস। প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে আক্রান্ত ও মৃতের তালিকা। এ অবস্থায় মহামারি থেকে বাচতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে মাস্ক, যা কমায় সংক্রমণ এবং মৃত্যুহার।

কিন্তু কাপড়ের মাস্ক নাকি সার্জিক্যাল মাস্ক, করোনা থেকে কোনটি বেশি উপকারী? সার্জিকাল থেকেও অনেকের পছন্দ কাপড়ের মাস্কেই। কিন্তু এই ব্যাপারে সতর্কতা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সম্প্রতি টুইটারে শেয়ার করা এক ভিডিওর মাধ্যমে এ সতর্ক বার্তা দেয় তারা। 

ভিডিও বার্তায় বলা হয়, করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে প্রথম থেকেই মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের ওপর জোর দিয়ে আসছে ডব্লিউএইচও। তবে কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে হাত পরিষ্কার রাখায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে তারা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যে কোনো সময় কাপড়ের মাস্ক ছোঁয়ার আগে হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। মাস্কের কোথাও কোনো ছিদ্র বা ছেঁড়া রয়েছে কিনা, দেখে নিতে হবে ভালো করে। অনেক সময় দেখা যায়, মাস্ক পরার পর মুখের দু’পাশে ফাঁক রয়েছে। তা কোনোভাবেই হতে দেওয়া যাবে না। মাস্ক পরার পর মুখ, নাক এবং থুতনি সম্পূর্ণভাবে ঢাকা থাকতেই হবে।

হু বলছে, ঘন ঘন মাস্ক না ছোঁয়াই ভালো। আর যদি মাস্ক খুলতে হয় বা ঠিক করতে হয়, তা কানের পাশে অথবা মাথার পেছন দিক থেকে মাস্কের বন্ধনী ধরেই খুলতে বা পরতে হবে। খোলার পরই মুখের কাছ থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে মাস্ক। সার্জিক্যাল মাস্কের ক্ষেত্রে একবার পরার পরই তা ফেলে দিতে হয়। তবে কাপড়ের মাস্ক পুনর্ব্যবহারযোগ্য বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। মাস্ক ভিজে না গেলে, নোংরা না হলে খোলার পর পরিষ্কার থলিতে রেখে দেওয়া যাবে। ফের ব্যবহার করতে চাইলে বন্ধনী ধরে থলি থেকে বের করে সাবান বা ডিটারজেন্টে ভিজিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। দিনে এক বার গরম পানিতে সাবান মিশিয়ে মাস্ক ধুয়ে নিলে ভালো হয়।
 
কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর আগে ত্রিস্তরীয় মাস্কের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিল ডব্লিউএইচও। বলা হয়, দোকান থেকে কিনে বা বাড়িতে তৈরি করা মাস্ক পরা যাবে। তবে সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষমতা মাস্কের কাপড়ের ওপর যেহেতু নির্ভর করে, তাই তিনটি স্তরে আলাদা রকমের কাপড় দিতে হবে। মাস্কের যে অংশটি ভেতরের দিকে থাকবে, তাতে সুতির কাপড় ব্যবহার করলে ভালো। কারণ তা মুখ থেকে নির্গত ড্রপলেটস দ্রুত শুষে নিতে পারে। মাঝের স্তরে থাকবে পলিপ্রোলাইনের মতো উপকরণ, যা ফিল্টারের কাজ করবে। বাইরের স্তরটি তৈরি হবে পলেস্টারের মতো উপকরণ দিয়ে, যা সংক্রমণ বাইরে ছড়াতে দেবে না বা বাইরে থেকেও সংক্রমণ মুখে প্রবেশ আটকাবে।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

 


Published: 2021-06-28 08:49:35   |   View: 1440   |  
Copyright © 2017 , Design & Developed By maa-it.com



up-arrow