Breaking news

বাংলাদেশের মহীসোপান দাবিতে ভারতের আপত্তি
বাংলাদেশের মহীসোপান দাবিতে ভারতের আপত্তি

বাংলাদেশের মহীসোপান দাবিতে ভারতের আপত্তি

বঙ্গোপসাগরের মহীসোপানে বাংলাদেশের দাবির বিষয়ে জাতিসংঘে আপত্তি জানিয়েছে ভারত। আর এ দাবির ওপর মিয়ানমার দিয়েছে পর্যবেক্ষণ।

সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) জাতিসংঘের মহীসোপান নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিশনে (সিএলসিএস) ভারত এই আপত্তি জানায়।বাংলাদেশ মহীসোপানের যতটুকু অংশ নায্য প্রাপ্য হিসেবে দাবি করছে, সেখানে ভারতের অংশও রয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি।

সূত্র জানায়, ২০১১ সালে মহীসোপানে ন্যায্য প্রাপ্য দাবি করে জাতিসংঘে আবেদন করে বাংলাদেশ। ২০২০ সালের অক্টোবরে এই দাবির বিষয়ে সংশোধনী দেয় ঢাকা। ভারতের আপত্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ভূখণ্ডের যে বেসলাইনের ওপর ভিত্তি করে মহীসোপান নির্ধারণ করেছে, সেখানে ভারতের একটি অংশও রয়েছে। এছাড়া বঙ্গোপসাগরের 'গ্রে এরিয়া' সম্পর্কেও আবেদনে কোনও তথ্য দেয়নি বাংলাদেশ।'

গ্রে এরিয়া প্রায় ৯০০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এমন একটি জটিল এলাকা যেখানে পানির উপরিভাগের সম্পদের মালিক ভারত, কিন্তু ওই অংশে সমুদ্র গর্ভস্থ মাটির নীচের খনিজ সম্পদের মালিক বাংলাদেশ।

অন্যদিকে মিয়ানমার বাংলাদেশের দাবির বিষয়ে একটি পর্যবেক্ষণ দিলেও এ নিয়ে কোন আপত্তি দেয়নি। দুই প্রতিবেশীর আপত্তি আর পর্যবেক্ষণে মহীসোপানে বাংলাদেশের নায্য প্রাপ্য দাবির নিষ্পত্তিতে জটিলতা কাটছে না।

ভারতের আগে এ বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের দাবির বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে মিয়ানমার। কিন্তু বাংলাদেশের দাবির প্রতি আপত্তি জানায়নি দেশটি। বাংলাদেশ আইনগতভাবে মহীসোপানের যতটা প্রাপ্য, তা থেকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করছে দুই প্রতিবেশী দেশ।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে জাতিসংঘের কাছে মহীসোপানের দাবির বিষয়ে বাংলাদেশ আবেদন জানায়। গত বছরের অক্টোবরে ওই দাবির বিষয়ে সংশোধনী জমা দেয় বাংলাদেশ।

শুক্রবার জাতিসংঘের সিএলসিএস ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ভারতের আপত্তিপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ভূখণ্ডের যে বেসলাইনের ওপর ভিত্তি করে মহীসোপান নির্ধারণ করেছে, সেটির মাধ্যমে ভারতের মহীসোপানের একটি অংশ দাবি করছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরে যে ‘গ্রে এরিয়া’ রয়েছে, সেটির বিষয়ে বাংলাদেশ কোনো তথ্য দেয়নি। ‘গ্রে এরিয়া’ হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে একটি ছোট অংশ, যেখানে পানির মধ্যে যে সম্পদ রয়েছে, যেমন মাছ, সেটির মালিক ভারত; কিন্তু মাটির নিচে যে খনিজ পদার্থ আছে, সেটির মালিক বাংলাদেশ। এই অংশের পরিমাণ প্রায় ৯০০ বর্গকিলোমিটার।

 

 

এম.আর.কে


Published: 2021-06-26 23:04:40   |   View: 1243   |  
Copyright © 2017 , Design & Developed By maa-it.com



up-arrow