ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে(আইপিএল) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রিস মরিস ঝড়ে নাটকীয় জয় পেয়েছে মোস্তাফিজুর রহমানের রাজস্থান রয়্যালস। এদিন বল হাতে নিজের জাত চিনিয়েছেন কাটার মাস্টারও।
ম্যাচটিতে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে সাঞ্জু স্যামসন বাহিনী। ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৭ রান সংগ্রহ করে দিল্লী ক্যাপিটালস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২ বল এবং ৩ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজস্থান।
ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ভালো করতে পারেনি পারেননি দিল্লীর টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা। পাওয়ার প্লে'র প্রথম ৬ ওভারে তারা ৩ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে মাত্র ৩৬ রান।
তিনটি উইকেটই নেন উনাদকাত। বাঁহাতি এই পেসার দশের ঘর ছুঁতে দেননি পৃথ্বি শ (২), শিখর ধাওয়ান (৯) আর আজিঙ্কা রাহানেকে (৮)।
প্রতিপক্ষকে এমন চেপে ধরা সময়ে ইনিংসের সপ্তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানকে আক্রমণে আনেন রাজস্থান অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন। প্রথম ওভারেই অধিনায়কের মুখে হাসি ফোটান টাইগার পেসারও।
এমন সময় দলের হাল ধরেন অধিনায়ক রিসাব পান্ত। তার ৩২ বলে ৫১ রানের ইনিংসে লড়াকু স্কোর পায় গতবারের ফাইনালিস্টরা। শেষদিকে লোলিত ২০, টম কারেন ২১ এবং ক্রিস ওকস করেন ১৫ রান।
রাজস্থানের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন উনাদকাত। এছাড়া দুটি উইকেট লুফে নেন মোস্তাফিজ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রাজস্থান। মাত্র ৪২ রান তুলতেই হারায় মূল্যবান ৫টি উইকেট। এই পাঁচজন ব্যাটসম্যানের কেউই দশের কোটা পার করতে পারেননি।
দলের এমন অবস্থায় হাল ধরেন বেন স্টোকসের পরিবর্তে খেলতে নামা ডেভিড মিলার। ৪৩ বলে তার করা ৬২ রানের ইনিংসে নতুন করে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে রাজস্থান শিবির।
কিন্তু মিলার আউট হওয়ার পর রাহুল তেয়াতিয়াও সাজঘরে ফিরলে ফের হারতে বসে তারা।
কিন্তু শেষদিকে দলের জন্য ত্রাতা হয়ে আসেন আইপিএলের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ক্রিস মরিস। মাত্র ১৮ বল খেলে ৩৬ রান করে দলকে প্রথম জয়ের স্বাদ দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিতই থাকেন তিনি।
এছাড়া ৭ বলে ১১ রান করেন ক্রিজেই ছিলেন উনাদকাত।